বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ নতুন রেললাইনের পরিকল্পনা

আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০২
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০১

যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ স্থল বন্দর পর্যন্ত নতুন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষে ইতিমধ্যেই উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্য প্রকল্পের তুলনায় এটির ব্যয় বেশি। ডিপিপি অনুযায়ী আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

সূত্র জানায়, সরকার বড় কোনো প্রকল্প হাতে না নেয়ার কারণে এই মুহূর্তে সরকারি অর্থায়নে নতুন এই রেললাইন নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। ফলে বৈদেশিক অর্থায়ন খোঁজার দিকেই এগোচ্ছে রেলওয়ে। সোমবার এই প্রকল্পের ডিপিপির ওপর রেলের মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সভা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হয়ে গেছে। এতে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের খরচ অনেক বেশি হবে, কারণ এই রেললাইন আম বাগান আছে- এমন ভূমির মধ্য দিয়ে যাবে। ফলে বৈদেশিক সহায়তায় এই প্রকল্প করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈদেশিক সহায়তার জন্য প্রকল্পের পিডিপিপি রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপর সেটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হবে। প্রকল্পটি অনেক বড়, ফলে সরকারি অর্থায়নে এটি করা সম্ভব হবে না। আমাদের পরিকল্পনা আছে জমি অধিগ্রহণ কাজটি হবে সরকারি অর্থায়নে। অন্যদিকে নির্মাণকাজ হবে বৈদেশিক অর্থায়নে।’

এই প্রকল্পের আওতায় ৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার মূল লাইন এবং ১২ দশমিক ২৬ কিলোমিটার লুপ ও সাইডিং লাইন নির্মাণ হবে। ৩টি মেজর ব্রিজ, ৩৯টি আরসিসি বক্স কালভার্ট এবং ৪.৫৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট নির্মাণ হবে।

এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণ হবে ৫২৭ দশমিক ৯ একর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাইপাস, নয়া নাওভাঙ্গা, শিবগঞ্জ, কানসাট ও সোনামসজিদ স্টেশনে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিংক সিগন্যালিং সিস্টেমসহ নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ হবে। রেলওয়ে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে।

প্রকল্পের ডিপিপিতে বলা হয়েছে, সোনা মসজিদ স্থলবন্দর বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মূলত সড়ক পথে হয়ে থাকে। সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের পর রেলপথে পশু পরিবহন করলে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সামগ্রিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে রেলওয়ের চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সোনামসজিদ পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনসহ এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের প্রসার হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ১৬ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফরের সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর পরই রেলওয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের ওপর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছে।

সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে সোনামসজিদ পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ আর্থিকভাবে অলাভজনক হলেও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে। একই সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাইপাস, নয়া নাওভাঙ্গা, শিবগঞ্জ, কানসাট, মোবারকপুর এবং সোনামসজিদের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো সংযুক্ত হবে।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। এই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সড়ক পথে হয়ে থাকে। এতে যানবাহন চলাচলের কারণে অত্র অঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্কের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে। এ ছাড়া সড়কপথে পরিবহনের সময় মালামালের ক্ষতি হচ্ছে। রেলওয়ের রাজশাহী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ থাকলেও সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ নেই। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারত থেকে পণ্য ও পণ্যের বাল্ক পরিবহন রেলপথে সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে । সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলওয়ের নেটওয়ার্ক না থাকায় এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। ভৌগোলিকভাবে এ অঞ্চলে আমের উৎপাদন বেশি হয়, যা সমগ্র বাংলাদেশসহ দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হয়। সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ না থাকায় এর মাধ্যমে সরাসরি আম পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না।


আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে প্রস্তুত আছে ১,০২৯,৮০,৩৬৭টি পশু

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহাকে ঘিরে সারা দেশে কোরবানিযোগ্য এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। যা গত বছরের তুলনায় চার লাখ ৪৪ হাজার ৩৪টি বেশি। এ ছাড়া এবার ঈদকে ঘিরে সারা দেশে তিন হাজার গবাদি পশুর হাট বসবে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ তথ্য জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে কোরবানির পশুর চাহিদা ও সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অবাধে যেন ঢাকায় কোরবানির পশু আসতে পারে তা নিশ্চিতকল্পে এ সভা হয়।

সভায় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, এ বছর বিভাগীয় পর্যায়ের তথ্যানুযায়ী কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর সর্বোচ্চ সম্ভাব্য চাহিদা এক কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৩৯৪টি। চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩টি অতিরিক্ত গবাদি পশু প্ৰস্তুত রয়েছে। যেখানে গরু ৫২ লাখ ৬৮৪টি, মহিষ ১ লাখ ৬০ হাজার ৩২০টি, ছাগল ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৮টি, ভেড়া ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭৪৩টি এবং অন্য প্রজাতিসমূহের এক হাজার ৮৫০টি পশুর প্রাপ্যতা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে কোরবানির পশু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকায় আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছরও কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলে তাকে হাসিল দিতে হবে না। কোনো খামারি তার পশু দূরবর্তী হাটে নিতে চাইলে রাস্তাঘাটে জোর করে নামাতে বাধ্য করা যাবে না।

এ ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় সরকারের ইউনিট তথা পৌরসভা, উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন সর্বাত্মক সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।

আব্দুর রহমান আরও বলেন, হাটে আনার পথে কেউ প্রাণী বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল নিতে পারবেন না। কোরবানির পশু কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নগদ টাকা বহন না করে যথাসম্ভব বিকল্প উপায়ে স্মার্ট পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের মতো এ বছরও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সারাদেশে কোরবানির পশু বিক্রির ব্যবস্থা চালু থাকবে।

ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী চোরাই পথে গরু যেন না আসে তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করলে মন্ত্রী বলেন, চোরাই পথে গরু আসার কোনো সুযোগ নাই। চাহিদার তুলনায় আমাদের পশু বেশি রয়েছে। কোরবানির চামড়া যেন অবৈধ পথে পাচার হতে না পারে সেজন্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, কেউ যেন পশু আনা-নেওয়ায় হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে পুলিশের টিম থাকবে। তাদের মাধ্যমে যে কেউ সহযোগিতা নিতে পারবেন।

খামারি, সিটি করপোরেশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থা যেন তৈরি করা যায় সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

বাংলাদেশের পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন সাক্ষাৎ করতে এলে এই আহ্বান জানানো হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ পরিবেশের নিশ্চয়তা প্রদান করে। আমাদের দেশের শ্রমমূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় যথেষ্ট যৌক্তিক। আমাদের অফুরন্ত সম্ভাবনার একটি অভ্যন্তরীণ বড় বাজার রয়েছে। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পে তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ও পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে বিনিয়োগ করলে এতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন।’

ফারুক খান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক প্রাচীন। অন্যান্য অনেক শিল্পের মতো এভিয়েশন শিল্পেও দুই দেশের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে দুই দেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কে পরিণত করতে পারে পর্যটন শিল্প। আমাদের দুই দেশের যৌথভাবে এই শিল্পে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের অনেক দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা চাই আমাদের দেশে পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের তুরস্ক যেন পর্যটন শিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করে। তুরস্কের সরকার প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য যে বৃত্তি প্রদান করে সেখানে পর্যটনকে বিশেষ ভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। পর্যটন শিল্পের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিনিময় দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।’

সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির কারণেই দিনদিন বাংলাদেশের এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব বাড়ছে। আমরা এভিয়েশন শিল্পে দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে চাই। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শিল্পে আমাদের যৌথ বিনিয়োগ রয়েছে। পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আমি তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলব এবং তাদের বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করব।’

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনায় তুরস্কের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে কর্মরতদের সঙ্গে শেয়ার করতে আগ্রহী। পর্যটন শিল্পে কর্মরত কর্মীদের যাতে পর্যটন শিল্পের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় সেই বিষয়ে আমি তুরস্কের প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলব। প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে পর্যটনকে যেন আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয় সেই বিষয়টি আমি তুরস্কের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করব। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্পের অংশীদারিত্ব আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় উন্নীত করবে।’


‘বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করতে হবে’

শেরেবাংলা নগরে বৃহস্পতিবার এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রম করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এনইসি চেয়ারপারসন। বৈঠক শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান আছে সেগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ নজর দিতে হবে। এ ছাড়া প্রতি তিন মাস পরপর এসব প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একনেকে প্রতিবেদন দিতে হবে।’

প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষতা বাড়াতে প্রকল্প পরিচালকরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যেন একই স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন এনইসি সভায় সে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের শুরুতেই সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সঠিকভাবে করতে হবে। সেজন্য যেসব প্রতিষ্ঠান সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ করে তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।’

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছি সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করেই নেওয়া হয়। আগের মতো সুতা লাগানো (শর্ত দেওয়া) ঋণ নেওয়া হয় না। ঋণ দিয়ে এটা করতে হবে ওটা করতে হবে- এসব থাকলে আমরা সে ঋণ নেই না।’

আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জানান, গত জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ হার ছিল ৫৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এনইসি বৈঠকে সব সচিবদের সামনে এ তথ্য তুলে ধরে এডিপি বাস্তবায়ন হার বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এনইসি সভায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার ও পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২১ মে যেসব এলাকায় ব্যাংক বন্ধ

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তফসিলি ব্যাংক এবং এর শাখা ও উপশাখা আগামী মঙ্গলবার (২১ মে) বন্ধ থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ মে তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক আগামী ২১ মে রংপুর বিভাগের ২১টি, রাজশাহী বিভাগের ১৯টি, খুলনা বিভাগের ২৫টি, বরিশাল বিভাগের ১৪টি, ঢাকা বিভাগের ৩০টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ১১টি, সিলেট বিভাগের ১১টি ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৬টি উপজেলায় পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের দিন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত তফসিলি ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয়সহ সব শাখা বা উপশাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়া এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিষয়:

২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপিতে মোট বরাদ্দ দুই লাখ ৬৫ হাজার

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় বৃহস্পতিবার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে চলমান অর্থনৈতিক চাপের কারণে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার বাড়াচ্ছে না সরকার। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে মোট বরাদ্দ থাকছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় মাত্র দুই হাজার কোটি টাকা বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এই উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বিস্তারিত তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট বরাদ্দের বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ কোটি টাকা। তবে এবারও উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎখাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ দুই খাতে তুলনামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দও থাকছে বেশি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

সরকার নতুন উন্নয়ন বাজেটে পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এডিপির আকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল এডিপি অপেক্ষা দুই হাজার কোটি টাকা বা দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি এবং সংশোধিত এডিপি অপেক্ষা ২০ হাজার কোটি টাকা বা ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।

বিষয়:

আগামীতে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামীতে উপজেলাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে এসে জেলাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়নে সরকার গুরুত্ব দেবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম।

আজ বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দেখা যায় অনেক উপজেলায় একাধিক প্রকল্প, আবার অনেক উপজেলা অবহেলিত থাকে। এটা বন্ধ করতেই জেলাভিত্তিক প্রকল্প হাতে নেব যাতে উন্নয়ন সমভাবে বণ্টন হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেসব সরকারি কর্মকর্তা নানান সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণে যান, সেখান থেকে ফেরার পর তাদের প্রশিক্ষণের ধরণ অনুযায়ী প্রকল্পে নিয়োগের অনুশাসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।’

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, চলতি অর্থবছরে ৩০ জুনের মধ্যে ৩৫৬টি প্রকল্প শেষ হবে যা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ। কোনো চিকিৎসক প্রকল্প পরিচালক হলে তাকে আলাদা প্রশিক্ষণ দিতে এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন।

বিষয়:

রাজধানীতে বিমানবন্দরের সামনে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে প্রাইভেটকারে আগুন লাগে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে একটি প্রাইভেটকারে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে গাড়িটিতে আগুন লাগে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।’

কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মোনায়েম বিল্লাহ জানান, গাড়িটিতে শুধুমাত্র চালক ছিলেন। কোনো যাত্রী ছিলেন না। আগুন লাগার পর চালক বাইরে বেরিয়ে আসেন। এতে কেউ হতাহত হননি।


ঢাকা ছাড়লেন লু

ফুলের তোড়া হাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু তিন দিনের সফর শেষ করে ঢাকা ছেড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন ডোনাল্ড লু। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু। ঢাকায় আসার আগে তিনি ভারত ও শ্রীলঙ্কা সফর করেন। চলতি বছর ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডোনাল্ড লুর এটাই ছিল প্রথম ঢাকা সফর।


ন্যায়বিচার নিশ্চিতে মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বিচারপ্রার্থীরা যাতে সহজে ন্যায়বিচার পেতে পারে সে জন্য সর্বোচ্চ আদালতসহ সব আদালতের বিচারকদেরকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের বিচার পাওয়ার শেষ আশ্রয়স্থল। তাই বিচারকাজে বিচারপতিরা তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন।’

আজ বিকেলে বঙ্গভবনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতির সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এ কথা বলেন।

প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি নতুন বিচারপতিদের অভিনন্দন জানান।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, জনগণ যাতে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার পায় সে জন্য নতুন বিচারপতিরা তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি হচ্ছেন বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম এবং বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্ত এমপি হাফিজ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বরিশাল-৬ আসনের এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিক প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যায় ‘ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায়’ তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে দুপুরে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথম দফায় ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। কমিশনের কাছে ভুল স্বীকার করেন এই আইনপ্রণেতা।

কমিশনের কাছে ক্ষমা চাওয়ায় হাফিজ মল্লিককে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে অশোক কুমার জানান।

এর আগে সোমবার নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এমপি আবদুল হাফিজ মল্লিককে চিঠি পাঠান। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বরিশাল-৬ আসনের এমপি হাফিজ মল্লিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে তলব করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় তাকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এমপি মল্লিককে দেওয়া ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ মে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন আপনি ৪৭ নম্বর মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। যার ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়) ছবিসহ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে।


কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়লে ক্ষতিপূরণ পাবে পোশাকশ্রমিকরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পোশাকশ্রমিক কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় পড়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। তবে এখন থেকে এ ধরনের দুর্ঘটনা ‘শিল্প দুর্ঘটনা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশে এর আগে এই নিয়ম শুধু কর্মক্ষেত্রের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমান নিয়মের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার পোশাকশ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারবেন।

অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) পাইলটের গভর্নেন্স বোর্ড সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ৮ম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘যাতায়াত দুর্ঘটনা’-কে ‘শিল্প দুর্ঘটনা’ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এই সিদ্ধান্তের পাইলটিং কার্যকর হবে।

অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম (ইআইএস) পাইলটের গভর্নেন্স বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্তটি নিয়োগকর্তাদের সংগঠন, শ্রমিক সংগঠন এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, বাংলাদেশের শিল্প ও শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিল্প দুর্ঘটনার মধ্যে যাতায়াতকালের দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।

সভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর কারিগরি বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের সম্প্রসারণের কারিগরি ও আর্থিক দিকগুলোর মূল পয়েন্টগুলো তুলে ধরেন। যাতায়াতকালীন দুর্ঘটনাকে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত উল্লেখ করা আছে- ঘটনা কারখানার বাইরে ঘটতে হবে, কারখানার সঙ্গে তাদের যুক্ততার রেকর্ড থাকতে হবে।

নিয়োগকর্তাদের সংগঠনগুলো পাইলট স্কিমের আওতায় আগামী ১ জুলাই থেকে যাতায়াত দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সামাজিক সুরক্ষার জন্য শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারকে সমর্থন করি এবং নতুন সুবিধাগুলো বিবেচনা করতে পেরে খুশি হবো যদি সেটি শিল্পের প্রতিযোগিতাকে প্রভাবিত না করে।

এরইমধ্যে শ্রমিক প্রতিনিধিরাও এ উদ্যোগে সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তৈরি পোশাক খাত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ খাত, তবে সড়ক পথে যাতায়াত এই কাজের সবচেয়ে ভয়াবহ অংশ, তাই যাতায়াত দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণের অন্তর্ভুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

আইএলও অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি বেনিফিট কনভেনশন নং ১২১ (সি-১২১)-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদে সদস্য দেশগুলোকে শিল্প দুর্ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং যার মধ্যে একটি যাতায়াত দুর্ঘটনাকে শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হবে এমন শর্তগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২০২২ সাল থেকে ইআইএস পাইলট তৈরি পোশাক খাতের আহত শ্রমিক ও মৃত শ্রমিকদের কর্মস্থলজনিত দুর্ঘটনার জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে আসছে। আইএলওর বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিয়াইনেন বলেন, যাতায়াত দুর্ঘটনা অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে এই উদ্যোগটি শ্রমিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করবে এবং শিল্প সম্পর্কের উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আইএলও এবং জিআইজেড যৌথভাবে অ্যামপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিম পাইলট বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলোকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। আইএলও উদ্যোগটি নেদারল্যান্ডস এবং কানাডা সরকার দ্বারা অর্থায়ন করা হয়, অন্যদিকে জিআইজেড উদ্যোগটি জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিএমজেড) দ্বারা অর্থায়ন করা হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সঙ্গে তিন দিনের বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলও কিছু পরামর্শ দিতে চায়, যাতে আইনটি আরও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়। সংস্থার কমিটি অব এক্সপার্ট আইনটা দেখেছে, পড়েছে, সেখানে তারা আন্তর্জাতিক মান নিয়ে কিছু সুপারিশ দিয়েছে।


সময় নির্ধারণ করে সেবা দেওয়ার তাগিদ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এখন যতগুলো সেবা দেয়, তার সবগুলো আগামীতে একটা লিপিবদ্ধ কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। লিপিবদ্ধ এ কর্মপরিকল্পনায় সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যত সেবা দিই, সব সেবা আমরা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেব; যেখানে সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে। কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেব এটাও ঠিক করে ফেলব। এটা করে ফেলতে পারলে আমাদের পুরো সেবাটাকেই ই-গভর্নন্যান্সে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারব।’

আজ বুধবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে। জুনে বাজেট শুরু হবে। আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করব আপনাদের। আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা। আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিষ্কার না। এটা ‌যেকোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্সের পূর্বশর্ত। যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত। খুব সহজ; আমি কী সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কী প্রক্রিয়ায় দেব, স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে। আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনার একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা।’

তিনি বলেন, ‘এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না। দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব। আমাদের আইআরসি, এক্সপোর্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন- সব সেবাই কিন্তু অনলাইনে দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে, সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে। একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন, আরেকটা করলেন না; তাহলে তো হবে না। এই জায়গাগুলোতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করতে হবে এবং সেটাকে ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করতে হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন; আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন। প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদের নিয়েই আমাদের সব কর্মপরিকল্পনা। কোনো সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না, তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সম্পূর্ণ হলো না। আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কীভাবে নিচ্ছেন সেটাও ভাবতে হবে। এটাকেও ডিজিটালাইজ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা৷ আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি। হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলব, অথবা পুরোটা বাংলায় বলব। আমার মনে হয়, ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়। আমাদের এই চর্চাটা শুরু করা উচিত।


রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ফিটনেসহীন সব বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া রাজধানীতে যেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলতে না পারে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার বনানীতে বিআরটিএ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৭-এর অধীনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে ওবায়দুল কাদের এসব নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত কোন গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চালাতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ সময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যে রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন, যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।

উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

সভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র নগরের মধ্যে অটোরিকশা চলাচল বন্ধে সম্মতি দেন।

রাজধানীতে ফিটনেসহীন গাড়ির বিষয়ে নিজের ক্ষোভ করেছেন ওবায়দুল কাদের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে ধরনের লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা গাড়ি চলে তা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহরে আধুনিক গণপরিবহন চলাচল করে। কিন্তু ঢাকায় লক্কড়-ঝক্কড় ও রংচটা গাড়ি চলে। এগুলো দেখতেও তো খারাপ লাগে। এর চেয়ে ঢাকার বাইরে মফস্বল এলাকাগুলোতে উন্নতমানের গণপরিবহন চলে।

‘এই ‘লক্কড়-ঝক্কড়’ বাসগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না,’ বিআরটিএ কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেন মন্ত্রী।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা আনতে বিআরটিএ অনেক কর্মসূচি ও আইন করে। কিন্তু রেজাল্ট (ফল) কী? সড়কের দুর্ঘটনা ও যানজট তো কমছে না।’

তিনি বিআরটিএর কর্মকর্তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত উন্নয়নের পরও সড়ক, মহাসড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কেন? ঝালকাঠিতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৪০ বছরের পুরানো গাড়ি কীভাবে সড়কে চলে। এতদিন কী করছিল বিআরটিএ?

ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়কে পরিবহনে যদি শৃঙ্খলা না আসে তাহলে নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন দেখে কী লাভ। সড়কে শৃঙ্খলা না থাকলে, এতো মেগা প্রকল্প এবং ছয় থেকে আট লেনের সড়কেরও কোনও সুফল আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নো হেলমেট, নো ফুয়েল
এদিকে দেশের বাইক চালকদের আবারও সতর্ক করে দিয়ে হেলমেট না থাকলে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তার স্পষ্ট নির্দেশ, ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল।’

এ নির্দেশ তার ঘোষণার পর থেকে সারাদেশে কার্যকর করার নির্দেশ দেন তিনি। দেশের সব জায়গায় এমনকি মফস্বলেও এই নীতি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের কারণেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত সড়ক পরিবহন আইনে হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে ১০ হাজার টাকা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন দেখা যায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনা বিশ্বের কোথাও শূন্যের কোটায় নেই। তবে বাংলাদেশে এটি কমে আসবে।

সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।


banner close